ঢাকা, শুক্রবার ২৮, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২০:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
রোজা শুরুর আগেই বেড়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ১৭ লাশ তরুণ প্রজন্ম দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে: সেনাপ্রধান মধ্যরাতে ভূমিকম্পে ফের কেঁপে উঠলো উত্তরাঞ্চল দরিদ্র নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথ উদ্যোগে উদ্যাপিত হয় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১। দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে  সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।    

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, চেয়ারম্যান। আরও উপস্থিত ছিলেন,  জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহসভাপিত রাবেয়া বেগম, সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি। 

সায়েদুল ইসলাম বলেন, কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় সমাজকে সচেতন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বে”ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। যখন প্রযুক্তিই নির্ধারণ করবে যে কোন দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে, সে সময়ে আমাদের কন্যাশিশুদেরকে অবশ্যই প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে এবং তাদের হাত ধরেই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বার্থক রূপায়ণ হবে।

লাকী ইনাম  বলেন, কন্যাশিশুর সুরক্ষার পাশাপাশি তাদের মেধা ও মনন বিকাশে সরকারি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদশ শিশু একাডেমি নিরলস ভূমিকা পালন করে চলেছে। কন্যাশিশু দিবসে অভিভাবক ও সচেতন মহলের অনুরোধ থাকবে বিষয়টি যেন একটি সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, আমাদের সারা বছরের কর্মকাণ্ডে আমরা যেন শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতন থাকি। বিশেষ করে কন্যাশিশুদের অধিকার বিষয়ে আমরা যেন সর্বদা সচেতন থাকি।

রাম চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের যে সন্তানরা নিজেদেরকে প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে পারবে, তারা পৃথিবী শাসন করতে পারবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন এর পর আমরা শিশু সনদ পেয়েছি। ঐতিহ্যগতভাবে আগে ভাবা হোত মেয়েদেরকে যত দ্রুত বিয়ে দেয়া যায় তত পরিবার দায়মুক্ত হয়। কন্যার সাথে দায় শব্দটি কন্যাদায়।  আজকের বাংলাদেশে কন্যাদায় শব্দটি একেবারেই বেমানান। কন্যাদারকে আজকে যে অগ্রযাত্রায় আমরা দেখতে পাই তাতে আমাদের বিশ্বাস যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশে কন্যাকে শুধুমাত্র মেয়ে হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারী ও পুরুষ সমান তালে চলছে। তবুও কিছু পশ্চাতপদতা যে নেই তা নয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার।  


নাছিমা আক্তার জলি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন। সেই সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশেই শিশুদের জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। আমরা প্রতিবছর জাক জমকের সঙ্গে কন্যাশিশু দিবস উদযাপন করি। এই দিবস উদযাপন করার মধ্য দিয়ে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে কন্যাশিশুদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে, তাদের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে; যাতে করে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ,  কন্যাশিশূদের জন্য একটি সুরক্ষিত বাংলাদেশ, একটি সমতার বাংলাদেশ গড়তে পারি।